পাঁচ শর্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরোধ শিথিল





received_2579742925592710চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান সংঘর্ষের জেরে বিজয় গ্রুপের ডাকা অবরোধ পাঁচ শর্তে শিথিল করা হয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ দল। 


বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রক্টর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে গ্রুপটি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত শর্ত পাঁচটি হল- বুধবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী হলে তিন কর্মীর উপর শিবির স্টাইলে হামলা ও পূর্বের সকল ঘটনার নির্দেশদাতা চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, ছাত্রত্বহীন ও বয়স উত্তীর্ণ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতিকে বহিস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবগত করা, বুধবার ও পূর্বে বিজয়ের ওপর সকল হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, বুধবার মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে আটককৃত ৮ কর্মীকে নিঃশর্তে মুক্তি এবং বিজয়ের আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
পরে বিজয় গ্রুপের কর্মী এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ফারদিন রাইয়ান ও আরবি বিভাগের সাহিল কবীর সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
এসময় তারা বলেন, রেজাউল হক রুবেল বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রগ কাটার সিস্টেমটা শিবিরের ছিল, এখন তারাও সেটা অনুসরণ করে আমাদের নেতাকর্মীদের জখম করেছে। তার ছাত্রত্ব নেই, বয়স বেশি এসকল অভিযোগ তো রয়েছেই। তাই তাকে বহিষ্কার সহ পাচঁদফা দাবি জানিয়ে আমাদের অবরোধ শিথিল করা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন,  তাদের দাবিগুলো আমরা বিচার বিবেচনা করে দেখবো। যদি তাদের দাবি যৌক্তিক হয় তাহলে আমরা সেই দাবিকে সমর্থন করি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
ট্রেন চলাচল ও আটককৃতদের বিষয়ে প্রক্টর বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সক্ষম হলে আজ রাত থেকে ট্রেন চলাচল সচল হবে। অন্যথায় আগামীকাল থেকে ট্রেন চলবে। আর যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সিএফসি গ্রুপের একজনকে মারধরের ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনজনকে জখমের প্রতিবাদ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে এ ঘটনার দায়ী করে তার বহিষ্কারের দাবিতে লাগাতার অবরোধের ডাক দেয় বিজয় গ্রুপ।
এদিকে রাতে নিরাপত্তার জন্য সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় গভীর রাতে সিএফসি গ্রুপের ১২জন ও বিজয় গ্রুপের ৮জনকে আটক করা হয়।