জবির শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে উপাচার্যপন্থীদের জয়

received_203191417744268জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে নীল দলের উপাচার্যন্থী অংশ জয় লাভ করেছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বমোট ১৫টি পদের ১৪টিতেই জয় অর্জন করেছে তারা। সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার এ ফল ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৬৭৮ জন এবং ভোটে অংশগ্রহণ করেন ৫২৪জন শিক্ষক।

নির্বাচনে সাদা দল প্রতক্ষ্য অংশগ্রহণ না করলেও অংশ নেয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ৩ গ্রুপ। নীলদলের দুই অংশ আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। জয় বাংলা শিক্ষক সমাজ নামের নতুন দল থেকে শুধুমাত্র সভাপতি পদে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

সভাপতি পদে অধ্যাপক নূরে আলম আবদুল্লাহ ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ১৯৩ ভোট। অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস পেয়েছেন ১০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম পেয়েছেন ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. এ কে এম লুৎফুর রহমান পেয়েছেন ২৩৩ ভোট।

এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মনিরুদ্দিন। কোষাধ্যাক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. জহিরুদ্দিন আরিফ। এছাড়া সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন ড. জি এম আলামিন, ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নোমান মাহফুজ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, ড. মোহাম্মদ রেজায়ুল হোসাইন, মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সাহানা আক্তার, ড. আবুল হোসেন, ড. প্রতিভা রানী কর্মকার এবং লুৎফর নাহার।

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক ঠিক রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রগতিশীল রাজনীতির পরিবেশ সমুন্নত রেখে, শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে কাজ করে যাব।

সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, আমাদের নির্বাচিত করায় ধন্যবাদ সবাইকে। আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।

উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩১ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করেছেন এবং মোট ভোটার ছিল ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ২জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।