মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জোহা মানে আদর্শ, জোহা মানে চেতনা, জোহা মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তিনিই প্রথম শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে ছিলেন কিভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়। কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে জোহা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার মৃত্যুর চার যুগ অতিক্রান্ত হলেও জাতীয়ভাবে এখনো শহীদ জোহার আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হয়নি।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা ১৮ ফেব্রুয়ারিকে অনতিবিলম্বে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান।
রাবি একডুকেশন ক্লাবের সদস্য রেজওয়ানুল আলম রিজভীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, সংগঠনের সদস্য শামস আল গালিব, ফুয়াদ পাবলো, শাহিনুর খালিদ, শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী।
মানববন্ধনে সংগতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি রনজু হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত হোসেন মিলন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে শহীদ হন তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা। প্রতিবছর এই দিনটিকে রাবিতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।