নিজের যকৃৎ দিয়ে বাবাকে বাঁচালেন মেয়ে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঊর্মি আচার্য্যের বাবা নারায়ণ আচার্য্য ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আক্রান্ত হন যকৃতের কঠিন রোগে। সুস্থ করার জন্য প্রয়োজন ছিল যকৃৎ প্রতিস্থাপনের। ঊর্মি নিজের যকৃতের ৬৭ শতাংশ দিয়ে বাঁচালেন বাবাকে।

unnamed
বাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাবাকে নিয়ে ঊর্মি ভারত যান গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর। ভর্তি হন দিল্লির ম্যাক্স হেলথকেয়ার হসপিটালে। গত ১৭ জানুয়ারি অপারেশন হয়। উর্মি দান করেন ৬৭ শতাংশ যকৃৎ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাবা নারায়ণ আচার্য্যকে নিয়ে দেশে ফেরেন উর্মি।
উর্মি বলেন, ‘বাবাকে লিভার দান ছিল আমার কর্তব্যের অংশ। আর সকলের সহযোগিতা করার আগ্রহ আমার সাহসিকতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আরও কৃতজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় ভাই-বোন, সহপাঠী, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রতি। দেশের মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়েছি যা প্রকাশের ভাষা জানা নেই।’
নিজেদের সুস্থতার ব্যাপারে উর্মি বলেন, ‘বাবার সুস্থ হতে ছয় মাসের মতো লাগতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার সুস্থ হতে তিন মাসের মতো লাগতে পারে। বাবাকে এখন থেকে অনেক দামি ওষুধ খেতে হবে। আমি সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলাম। এখন বাবাকে যকৃৎ দেওয়ায় আমিও আপাতত কোনও উপার্জন করতে পারব না। তাই অনেক দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হচ্ছে আমার।’
উল্লেখ্য, গেল বছর বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন উর্মি আচার্য্য। সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের জনগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।