বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিক সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিপর্যয়ে সারাদেশে চলমান লক ডাউন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে মানবেতর পরিস্থিতির শিকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের পরিবারগুলো। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। তেমনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদেরও একটা বড় অংশই উক্তশ্রেণির। বর্তমানে সারাদেশে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি, পার্ট টাইম জব বা অন্য কোনও পেশার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের খরচ জোগাতো, তাদের সে উপার্জনের পথ বন্ধ। ফলে এই শিক্ষার্থীরা এখন পরিবার নিয়ে মানবেতর পরিস্থিতি মধ্যে দিনাতিপাত করছে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেও ইবি প্রশাসন এখনও এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ নিজ প্রতিষ্ঠানের মানবেতর পরিস্থিতির শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।’
ইবি ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ এবং সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নানামুখী সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ইবি প্রশাসন ছাত্রবান্ধব কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করেনি যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে।’
এছাড়া, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় সংগঠন দুটির নেতৃবৃন্দ।