ইউল্যাবে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং ঐতিহ্য অন্বেষণ (প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র), সম্মিলিত পর্যটন জোট, সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এবং ইউল্যাব জেনারেল এডুকেশন বিভাগ-এর সহায়তায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ড. সুফী মোস্তাফিজুর রহমান, এবং সম্মিলিত পর্যটন জোট এর আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পর্যটন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেসুর রহমান। বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের এই বছরের প্রতিপাদ্য হলো পর্যটনের মাধ্যমে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন। এই প্রতিপাদ্যকে উপলক্ষ করে অনলাইন আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল প্রত্নপর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন। 

World Tourism Day (11)

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে পর্যটন শিল্পও যথাযথ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে যেখানে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দেশের প্রত্নস্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রত্নস্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটকগণ শুধু রাজস্ব সংগ্রহেই ভূমিকা রাখছে না, পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য স্থানীয় সরকারকর্তৃক রাস্তাঘাট বা সেতু নির্মাণের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে  স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোও উপকৃত হচ্ছে। প্রত্নপর্যটনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উদীয়মান এই শিল্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। 

আলোচনায় সন্মিলিত পর্যটন জোটের আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্নপর্যটনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্নস্থানের ও প্রত্নপর্যটনের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার উপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

অন্যদিকে, অধ্যাপক সুফী মোস্তাফিজুর রহমান পর্যটন দিবস উদযাপনের জন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে উদযাপনের জন্য সচেতন মহলকে আহ্বান করেছেন। তিনি আরও প্রস্তাব করেছেন যে, উন্মুক্ত জাদুঘরের মাধ্যমে জনসাধারণকে  বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায় যার মাধ্যমে প্রত্নস্থান ধ্বংস প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে। 

অধ্যাপক শাহনাজ হুসনে জাহান বাংলাদেশের প্রত্নপর্যটন কার্যক্রম পরিচালনায় একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন যেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি টেকসই স্থানীয় উন্নয়ন ঘটতে পারে।
অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে ইউল্যাবসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।