দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

করোনাকালীন ছুটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সেশনজটের কারণে অসম্পূর্ণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষসহ অন্যান্য বর্ষের অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১৩ বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ আবেদন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জাককানইবি

আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এই সঙ্কটের সময়ে অর্থনৈতিকভাবে ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই সময়ে বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে কিন্তু অংশ নেওয়া যাচ্ছে না কেবল স্নাতক শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে না পারার কারণে। সেই সাথে স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য বর্ষের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো গ্রহণের দাবিও জানানো হয় প্রশাসনকে দেওয়া আবেদনের মাধ্যমে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্নাতক শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আসন্ন ৪৩ তম বিসিএসে আবেদন করতে চাই। তাই জরুরিভাবে আমাদের পরীক্ষা এবং রেজাল্ট প্রকাশ না করলে আমাদের আন্দোলনের পথে যেতে হবে।’  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা ড. শেখ সুজন আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দেওয়া আবেদনের সাথে আমি একমত। আমি আগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম আমি আবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবিটি উপাচার্য স্যারের কাছে তুলে ধরবো।’

অন্যদিকে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবীর বলেন। ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির সাথে যোগাযোগ করছে এই বিষয় নিয়ে।’

উল্লেখ্য আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের আবেদন বিবেচনায় এনে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত না জানায় তবে পরবর্তী ৩দি ন অফলাইন এবং অনলাইনে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আল্টিমেটাম জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।