আবর্জনার দখলে হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের গবেষণা মাঠের একাংশ

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের পতঙ্গবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা মাঠের একাংশ আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শেষ প্রান্তে বঙ্গবন্ধু হল থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত ওই গবেষণা মাঠের একাংশ পলিথিন বর্জ্যের দখলে।

গবেষকদের মতে, প্লাস্টিক বা পলিথিন বর্জ্য এমন একটি পদার্থ যার আয়ুষ্কাল হাজার হাজার বছর। পলিথিন মাটিতে গেলে ক্ষয় হয় না বা মাটির সাথে মিশে যায় না। এটি মাটিতে পানি ও প্রাকৃতিক যে পুষ্টি উপাদান রয়েছ তার চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে মাটির গুনগত মান হ্রাস পায়। গাছ তার খাবার পায় না। মাটি ও পানিতে প্লাস্টিক কণা ছড়িয়ে পড়ে।

গবেষণা মাঠের একাংশ এমন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়াকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে, কৃষি অনুষদের কৃষি বনায়ন এবং পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো: শোয়াইবুর রহমান বলেন, ‘আসলে সত্যিই এমনটা ঘটে থাকলে ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক। আমদের ক্যাম্পাস একটি অন্যতম বায়োলজিক্যাল হটস্পট। হরেক রকমের গাছপালায় ঘেরা পরিবেষ্টিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠ হবে আরও সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন। আমাদের গবেষণা মাঠ যারা দেখভাল করেন, আমি সে সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো মাঠ পরিষ্কার করার ব্যাপারে যেন অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান খামার ব্যবস্থাপক এস.এইচ.এম গোলাম সারওয়ারের  সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে আবর্জনাগুলো বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী কতৃর্ক ফেলা বর্জ্য থেকে এসেছে। যেগুলো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পরিচ্ছন্নকর্মীরা ওখানে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে। আমি আজকেই আবর্জনাগুলো দেখে এসেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

গবেষণা মাঠের একাংশ কেন আবর্জনার  ভাগাড়ে পরিণত হলো, এ ব্যাপারে জানতে পরিবেশ সচেতন হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. কাসেমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।