ভূমিকম্পে শাবির কয়েকটি ভবনে ফাটল

সিলেটে দুই দফা ভূমিকম্পে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে ভূমিকম্পের আগেও ওসব ভবনে ফাটল ছিলো। সেটি এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার (০৮ জুন) শিক্ষার্থী ভবনে ফাটল দেখতে পেয়ে শাবি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন শিক্ষার্থীরা। ভূমিকম্পের আগে শাবির গ্রন্থাগার, একাডেমিক ভবন, ইউনিভার্সিটি সেন্টার ও শহীদ মিনারের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়ছিলো। সম্প্রতি ভূমিকম্পের কারণে ওসব ভবনের ফাটলগুলো আরও বড় আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানান, শাবির ইউনিভার্সিটি সেন্টার ২০১০ সালে তৈরি করা হয়েছিলো। এর দুই বছরের মধ্যে ভবনে ফাটল দেখা দেয়। ভবনটির একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেননি। বরং ভবনটিতে শিক্ষক সমিতির অফিস, সাংস্কৃতি সংগঠনের কার্যক্রমও পরিচালিত হয়ে আসছিলো। সম্প্রতি ভূমিকম্পে ভবনটির ফাটলগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি।

তবে শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল আলম বলেন, মানসম্পন্ন কাজ না হওয়ার পাশাপাশি যথাযথ তদারকির অভাবে শাবির কয়েকটি ভবন নির্মাণের এক-দুই বছরের মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এরকম অনেক ভবন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সঠিক তদারকি ও নিম্নমানের কাজের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভূমিকম্প হয়েছে গত কয়েকদিন আগে। সোমবারও সবশেষ ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এর আগেও অনেক ভবনে ফাটল ছিলো। ইউনিভার্সিটি সেন্টারসহ কয়েকটি ভবন নির্মাণের এক-দুই বছরের মধ্যেই ফাটল দেখা দেয়। ভূমিকম্পের কারণে এসব ফাটল আরও বড় আকার ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এসব ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে ঘন ঘন ভূমিকম্পে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রাজা জিসি হাইস্কুলের একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নামে নির্মিত ‘বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ভবন’-এ ফাটল দেখা দেয়।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিমের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সোমবার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় দুই দফা সিলেটে ভূমিকম্প হয়। এর আগে গত ৩০ মে ভোররাত ৪টা ৩৫ মিনিটে এবং ২৯ মে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে, ১০টা ৫০ মিনিটে, ১১টা ৩০ মিনিটে ও ১টা ৫৮ মিনিটে সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিলো।