কুবির সেই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটে নেওয়া পদক্ষেপকে ‘বিদ্বেষমূলক সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

সেই সঙ্গে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এই নেটওয়ার্কে যুক্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ১৫৬ শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৭ জুন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আসার তথ্য গণমাধ্যমকে সরবরাহের অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি একই বিভাগের শিক্ষক কাজী এম আনিছুল ইসলামকে আগের সিন্ডিকেটে পদোন্নতি দিয়ে পরের সিন্ডিকেটে আবার তা স্থগিত করা হয়।

শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি এরকম গর্হিত প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক মনে করে, এতে শুধু ব্যক্তি মাহবুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রাপ্য মর্যাদা ও নিরাপত্তা এতে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশের জন্য অশনিসংকেতস্বরূপ।

এদিকে কাজী এম আনিছুল ইসলামের পদোন্নতি স্থগিত নিয়ে বলা হয়, ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলনীতি বিরুদ্ধ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব ঘৃণিত পদক্ষেপ আত্ম-মর্যাদাসম্পন্ন এবং দায়িত্বশীল শিক্ষকদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ হিসেবে আমরা দেখছি। এতে সার্বিকভাবে সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বিনষ্ট হয়।

বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন, গীতি আরা নাসরীন, কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, মানস চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজীব নন্দীসহ মোট ১৫৬ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।