চলতি মাসেই ঢাবির হল খোলার দাবি ছাত্র সংগঠনগুলোর

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। 

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আবাসিক হলসমূহের আবাসন, বিশ্ববিদ্যালয়, হল খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) বা গাইডলাইন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদভুক্ত ক্রিয়াশীল ১৩টি ছাত্র-সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানায় ছাত্র সংগঠনগুলো।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট যুক্ত ছিলেন।

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলের আবাসন, হল খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের এসওপি নিয়ে আলোচনা হয়। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো গণরুম ও সিট প্লানের ক্ষেত্র যে প্রক্রিয়া আমরা হাতে নিয়েছি তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ আমাদের আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর কথা তাদের বলেছি। ভ্যাকসিনের আওতায় আসা সাপেক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে তা বাস্তবায়ন করার লক্ষে যথাযথ কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে সেপ্টেম্বরেই হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা, যেসব শিক্ষার্থী এনআইডি জটিলতার কারণে ভ্যাকসিনের আওতায় আসেনি তাদের জন্য ভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করা, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা,বহিরাগতদের আগমন যেন না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করা এবং গণরুম তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে মত দেওয়া হয়।  

সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ-মার্কসবাদী), ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিএসএল), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ ১৩টি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।