গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন শাবির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

দীর্ঘ দিনের চেষ্টার পর গৃহনির্মাণ ঋণ পাওয়ার সুবিধায় এসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গৃহ নির্মাণে ঋণ প্রদানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। এ ধারাবাহিকতায় সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে হওয়া চুক্তির বলে স্বল্প সুদে হোলসেলে গৃহনির্মাণ ও পার্সোনাল ঋণ পাবেন শাবিতে কর্মরতরা। 

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে হোলসেল ভিত্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মধ্যে পার্সোনাল ও গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদানের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

চুক্তি অনুসারে, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের চাকরির বয়সসীমা ও বেতন স্কেল অনুসারে গৃহ নির্মাণে ঋণ নিতে পাবেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। তবে ঋণ নিলে প্রায় ৯ শতাংশ হারে সুদ প্রদান সাপেক্ষে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, গৃহ নির্মাণে সহজ ঋণের ব্যবস্থা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি ছিল গৃহ নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থা করা। আমরা এই চুক্তির মাধ্যমে সেই সুবিধা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। সোনালী ব্যাংক আমাদেরকে সেই সুযোগ দিচ্ছে। 

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসি কুমার দাস, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনসহ সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতারা, বিভিন্ন দফতরের প্রধান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে সোনালী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. ইদ্রিস, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও হেড অফিসের মহাব্যবস্থাপক সুভাষ চন্দ্র দাস, সিলেট আঞ্চলিক অফিসের মহাব্যবস্থাপক বাবুল মো. আলম, সোনালী ব্যাংকের শাবি শাখা ব্যবস্থাপক এরশাদ আলীসহ ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।