চবিতে সন্তানদের চাকরি চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রশাসক পদ বাতিল ও পোষ্যকোটায় চাকরি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যৌথ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে তারা ১০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি-দাওয়া মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। 

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুর একটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় পরিষদের আহবায়ক ও চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ এবং মহাসচিব ও চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

স্মারকলিপিতে প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সব পদ হতে শিক্ষকদের প্রত্যাহার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নির্বাচনি বোর্ড সভা বাস্তবায়ন, কর্মকর্তাদের ডিউ ডেট সুবিধা বহাল, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির নীতিমালা সংশোধন-সংযোজনপূর্বক সময়োপযোগী করা, পোষ্যকোটায় চাকরি নিশ্চিত (বিশেষত যারা চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন) করতে ২০০২ সালের সিন্ডিকেটের ৩৯১ তম সভার ৯ (১) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপি ও দাবি-দাওয়ার বিষয়ে পরিষদের মহাসচিব ও চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, দাবিগুলো আমরা দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে এসেছি। নানাভাবে তা মানা হচ্ছে না। ১০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি উপাচার্যকে জানাবো।’ উপাচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।