উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

এদেশের সব উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি - বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং এদের দোসররা হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে দেশে শান্তি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ মহলটি কারা, কারা এদের পৃষ্ঠপোষক, তাদেরকে আমরা চিনি। এদেশের সকল উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আজকের এই সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে, তারা দুঃসাহস দেখাচ্ছে। গত ১২ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। অথচ এইবার কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা কতগুলো দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান, আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এখন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা কাউকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা কাউকে আক্রমণ করব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে আমরা পাল্টা জবাব দেব। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের ঠাণ্ডা মাথায় সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন।

তিনি আরও বলেন, কাল দশমী, বিসর্জনের দিন। কালকেও তারা আক্রমণ চালাতে পারে, আমি সরকারের পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীদের বলব, আপনাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কারণ এই অপশক্তি এবং তাদের যে পৃষ্ঠপোষক, বিএনপি ‑ তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, নির্বাচনে হেরে, ষড়যন্ত্রের চোরাগলি বেছে নিয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তারা আজ বাংলাদেশের স্থিতি নষ্ট করতে চায়, শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অতিমারির কারণে যে স্থবিরতা ছিল তা এবার অনেকটা কেটে গেছে, করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে এটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করার কোনও কারণ নেই। কোনওভাবেই শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। আমি ইচ্ছে করেই অফিসে যাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে চক্কর দেই। অনেক দিন এখান দিয়ে যেতে পারেনি বলে মনটা বেদনায় ভরে উঠতো। খুবই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। ১৯৭৫ সালের পর সকল লড়াই সংগ্রামের সকল প্রস্তুতিমূলক সভাগুলো এই জগন্নাথ হলে করেছি।

জগন্নাথ হল নিয়ে নিজের স্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানেই আমরা দুঃসময়ে আশ্রয় নিয়েছি, দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে কর্মসূচি প্রস্তুত করেছি।

এসময় তিনি পূজার আয়োজক কমিটি ও উপস্থিত সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই উৎসবটির জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তো বটেই, সমস্ত বাঙালিরা অপেক্ষায় থাকে।