আবারও মুখর ঢাবির টিএসসি

প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যক্ষ করে পৃথিবীর এক ভয়ংকর রূপ। পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও হানা দেয় মহামারি করোনা। অন্য দেশগুলোর মতো এখানেও থমকে যায় সব কিছু। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের ফিরতে হয় বাড়িতে। সুনসান হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। প্রায় দুই বছর এভাবেই থমকে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাঙ্গণ।

তবে গত ৫ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষ অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খোলার পর থেকে আবারও জমে ওঠতে শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)। এরপর ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পুরোদমে জমে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাঙ্গণ। মানানসই চেনা রূপে ফিরে টিএসসি।

প্রায় দুই বছর পর শুক্রবার (২২ অক্টোবর) টিএসসিতে অনুষ্ঠিত কনসার্ট। তাছাড়া, গান-কবিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহিংসতার প্রতিবাদ জানানো হয় এই প্রাঙ্গণে। যেন প্রাণ ফিরেছে এক মৃতপুরীতে!

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সামলান সাগর বলেন, "টিএসসি এমন একটি জায়গা যেখানে এলে আমাদের সকল ক্লান্তি-অবসাদ কেটে যায়। এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালেও কোনও ধরনের বিরক্তি আসে না। বহুদিন এই প্রিয় আঙ্গিনাটাকে মিস করেছি। ক্যাম্পাস খোলার পর আবার সেই চেনা রূপে প্রিয় আঙিনাকে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারিয়া শান্তা বলেন, "গত দেড় বছরে এই জায়গাটাকে, এর পরিবেশকে ভীষণ মিস করেছি। এখন আবারও টিএসসিকে সরব দেখে খুবই আনন্দিত।"

টিএসসি এলাকায় চা বিক্রি করেন কালাম হোসেন। তিনি বলেন, "এই দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। অনেকদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আয় অনেক কমে গিয়েছিলো। সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হতো। বিশ্ববিদ্যালয় আবার খোলার পর আয় বেড়েছে। আগের চেয়ে একটু ভালো চলছি।"