ঢাবিতে ‘বান্ধব’-এর প্রথম মিলনমেলা

একসময় চষে তারা বেড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস, এখন প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংসার জীবনে ব্যস্ত। দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে ফিরেছেন প্রাণের ক্যাম্পাসে। পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে কেউ কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত, একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন; কেউ আবার খুলেছেন গল্পের ঝাঁপি; সবাই যেন ফিরে গেছেন তারুণ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৩-৯৪ সেশনের প্রথম পুনর্মিলনী দৃশ্য ছিল এমনই।

‘বান্ধব’ নামে পরিচয় দেওয়া এই ব্যাচটির পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয় শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পুরনো বন্ধুদের সাথে আবেগ-উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা বিনিময় করতে কর্মব্যস্ত জীবনের ছুটির দিনে বিশ্রাম না নিয়ে বন্ধুত্বের টানে ছুটে আসেন শত স্মৃতি বিজড়িত ক্যাম্পাসে। বয়স ভুলে সবাই চলে যান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। নাচে-গানে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সবাই।

সকাল পৌনে ১১টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ডিআইজি ক্যাম্পাসে আসার পর আর ডিআইজি থাকেন না, প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের সচিব আর সচিব থাকেন না অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর অধ্যাপক থাকেন না। তিনি নিজের সেই জীবনে (বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন) চলে যান। যতদিন এই মূল্যবোধগুলো থাকবে ততদিন মানবতার জয়গান উচ্ছ্বসিত হবে।

ব্যাচের নামকরণ নিয়ে তিনি বলেন, এই বান্ধব নামের মধ্যে মধ্যে অসাধারণ চমক আছে! আমার মনে হয় এটাই সবচেয়ে সুন্দর নাম। আশা করি যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে ততদিন সবার মুখে এই নাম উচ্চারিত হবে। এসময় উপাচার্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

বান্ধব ঢাবি

এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে বান্ধবের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশিক সাইফ। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মহেন্দ্রক্ষণে 'বান্ধব'র প্রথম পুনর্মিলনী করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।' 

অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত বছরের ৯ এপ্রিল হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা করা হয়নি। অত্যান্ত আনন্দিত অবশেষে আমরা তা করতে পেরেছি।