জবি উপাচার্য অবরুদ্ধ 

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপাচার্য।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনে প্রথমে রেজিস্ট্রারের কক্ষে অবস্থান নিয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানকে অবরোধ করেন। পরে রেজিস্ট্রার দাবি বাস্তবায়নে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ শিথিল করেন। এ সময় রেজিস্ট্রার বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে যান। কর্মচারীরাও তার সঙ্গে গিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের অনেকেই ১০ থেকে ১২ বছর ধরে দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কাজ করছেন। দৈনিক ৬০০ টাকা হাজিরায় পরিবার-সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক বা স্থায়ী করার অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। ঢাকার মধ্যে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ হয় না। এখানে অনেকের বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সনদের বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকদিন ধরে তারা দাবি জানিয়ে আসলেও প্রশাসন কোনও সুরাহা করছে না।

তারা আরও জানান, চুক্তিভিত্তিক বাসচালক ও সহযোগীরা বেতন ছাড়া কোনও বোনাস-ভাতা পান না। এমনকি কোনও উৎসব বা ঈদেও ভাতা নেই তাদের। পরিবহনের টেকনিশিয়ান হেলপাররা হাজিরাভিত্তিক কাজ করছেন। 

পরিস্থিতি শান্ত করতে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল তাদের দাবিগুলো লিখে জমা দিতে বলেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন। তবে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরাও চাই তাদের চাকরিগুলো স্থায়ী হোক। এর আগেও ইউজিসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার প্রায় আড়াই শতাধিক পদের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য মাত্র ১০টি পদ অনুমোদন করেছে ইউজিসি।’