প্রশাসনিক ভবন আধুনিকীকরণের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের আধুনিকীকরণসহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ। কর্মসূচি শেষে তিনি দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে জমা দেন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্য কোনও ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আমি করোনাকালের পরিবহন ফির টাকা ফেরত নিতে এসেছি রেজিস্ট্রার ভবনে। আমাকে বলে দুই মাস পর আসেন। এর আগে ফলাফল সমন্বয় করতে এসেছি। সে সময়ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম বছরে এসেও প্রশাসনিক কাজের জটিলতাজনিত হয়রানি কমেনি।’

দাবিগুলো হলো

শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন, প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটাইজড করা, সব অফিসকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানুষিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূল করা, প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞান বিভাগ ও সেন্টারগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে।

এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যানটিনের সংস্কার করা, প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবগুলোয় স্থানান্তর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কারী অপ্রয়োজনীয় পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

প্রশাসনিক ভবনের অফিসকক্ষের দরজায় ডিজিটাল ডিসপ্লে মেশিন স্থাপন এবং ডিসপ্লেতে অফিসগুলোর নাম, কক্ষ নম্বর ও সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম-ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করা হবে।