মশা-ময়লায় অতিষ্ঠ জাবির শিক্ষার্থীরা

মশা ও ময়লায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় ‘নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, মশা নিধন কার্যক্রম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সচলের’ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে অব্যবস্থাপনার শেষ নাই। আজ আমরা তিনটি অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নিয়ে দাঁড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় যেখানে গবেষণা কাজে ও পড়াশোনায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ প্রয়োজন, এই সরকার সেটাও নিশ্চিত করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন এসব সমস্যার কথা জানিয়েও সমাধান মেলেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সেন্ট্রাল স্যুয়ারেজ লাইন পর্যন্ত নাই। এই অব্যবস্থাপনাগুলো প্রশাসনের নিরসন করতেই হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পাসে তিন থেকে চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পেয়েছি। আজ যখন ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে তখন ক্যাম্পাসের যত্রতত্র অব্যবস্থাপনা। অবিলম্বে মশা নিধনের ব্যবস্থা করুন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন। শতভাগ বিদ্যুতের নিশ্চয়তার বিষয়ে যেখানে সরকার ঘোষণা দিচ্ছে সেখানে ক্যাম্পাস প্রশাসন এখন কেন সেটা নিশ্চিত করতে পারছে না? আমরা আশা রাখছি যে এই ক্যাম্পাস প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব হয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করবে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে ও পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করবে।’

উপাচার্যকে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন শিক্ষার্থীরামানববন্ধনে সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণির নাগরিক বলা হয়। এটা বোধহয় পরিহাস করেই বলা হতো। কারণ প্রথম শ্রেণির নাগরিক শিক্ষার্থীদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার আদায়ে মানববন্ধন করতে হয়।’

মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল ৭টা-৮টা, দুপুর ১ট-২টা ও বিকাল ৪টা-৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে সময় নির্ধারণ করে দেয়।

এছাড়া মশা নিধনে শুক্রবার থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্প্রে করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন উপাচার্য।