জাহাঙ্গীরনগর ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

nonameশেষ হলো ‘জনজীবন, ভাষা ও সংস্কৃতি’ বিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। একাধিক সেমিনার, পারস্পারিক জ্ঞান বিনিময় আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রতিবেশীকে জানার অদম্য প্রয়াস। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার সম্মেলনটি শুরু হয়ে শেষ হয় বুধবার।

বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা ভারতের প্রতিবেশী রাজ্যগুলোকে জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে আয়োজন করে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের। সম্মেলনের শেষ দিন বুধবার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ এ অডিটোরিয়ামে ৫টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলা সাহিত্য ও লিটল ম্যাগাজিন’ শীর্ষক সেমিনারে পশ্চিমবঙ্গের লিটল ম্যাগাজিনের অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতার রূপা বাসু ঠাকুর। তিনি বলেন, কোনও সাহিত্যকর্ম দেশ কিংবা ভৌগলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। যেকোনও সৃষ্টিই সবদেশের সব জাতির।’

noname

এ সেশনে ডিজিটাল বাংলা সাহিত্যের আলোকে বিদেশের মাটিতে বাঙালিদের মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতার সারসোনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. তন্ময় বীর। ত্রিপুরার সাহিত্য ও লেখকদের নিয়ে কথা বলেন গৌরী বর্মণ। সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন।

আরেকটি সেমিনারে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে ওড়িশায় জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র নায়েক ও মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের গবেষক সাচিদানন্দ আগম প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম।

noname

দুপুরের পর ‘ভাষা বৈচিত্র্য এবং বাংলা ভাষা’, ‘সংগ্রাম এবং সংস্কৃতি’, ‘বিভাজন এবং অভিবাসন’ শীর্ষক আরও তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচয়িতা ও রাজনীতিক বদরুদ্দিন উমর সমাপনী ভাষন দেন। দিন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচ এ অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তিন দিনের এ সম্মেলনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ঝাড়খণ্ড, মনিপুর, বিহার, অরুণাচল ও ওড়িশা থেকে অর্ধশতাধিক বিদেশি গবেষক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক যোগদান করেন।

/এএ/এএইচ/