জাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (৫০ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (৪৫ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা। স্মৃতিচারণ শেষে বরণ করে নেওয়া হয় ৫০তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের। পরে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ হওয়া ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আছো। তোমাদের অনেক কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের জন্য একটা অবারিত সুযোগ। এখানে তোমরা তোমাদের ঘাটতিগুলো পূর্ণ করবে। তোমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা মূল্যায়িত হবো। আর নবীনদের জন্য শুভকামনা। তোমাদের নিজেদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ভালো বন্ধু তৈরি করতে হবে। বন্ধুত্ব তৈরি করে গঠন করতে হবে সুন্দর জীবন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই ভালো বন্ধুদের নিয়ে একটি সুন্দর সময় কাটিয়ে দিতে হবে, যেখানে থাকবে হাসি-ঠাট্টাসহ পড়াশোনা সবকিছু। জীবন গড়ার এই আঙ্গিনায় নিজেকে শাণিত করে একটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নবীনদের জন্য এখনও অনেক সময় আছে। তোমরা নিজেদের প্রস্তুত করো। যারা বিদায়ী তারাও শিক্ষকদের সঙ্গে আত্মিক একটি মেলবন্ধন রেখো। এক সময় এগুলোই স্মৃতির খোরাক যোগাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুরুল আমিন বলেন, ‘বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন মানেই বিভাগ তথা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বিদায় নয়। এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আমাদের বিভাগের দরজা সব শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকবে। বিভিন্নভাবে আমরা বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবো। এখান থেকে পড়াশোনা সমাপ্ত করে যারা সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কীভাবে জনগণকে সেবা দেওয়া যায়। নবীন শিক্ষার্থীরাও নিজদের লক্ষ্য অর্জনে এখন থেকেই সঠিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এতে নিজদের পাশাপাশি বিভাগেরও নাম সমাদৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিভাগে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উপহার দিয়েছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– অধ্যাপক জেবউননেছা, অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক হরে কৃষ্ণ কুন্ড, সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহমুদুর রহমান, বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক আবু সাইফ মো. তাওহীদুল আনাম প্রমুখ। এ সময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।