চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এ সময় দুই পক্ষ একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারেন।

সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও বিজয় গ্রুপ। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও বিজয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে বিজয় গ্রুপের একজনকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কিছু কর্মী মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে রাতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দুপুরে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ সময় ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী মোড়ে এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায়।

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, ‘বিভাগের অভ্যন্তরীণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বেধেছে। সোহরাওয়ার্দী হলের বিজয় গ্রুপের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী আছে। তারাই মূলত উসকানি দিয়ে এই সংঘর্ষ বাধায়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

বিজয় একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থীর বিভাগের সমস্যা নিয়ে এই সংঘর্ষ বেধেছে। গতকাল এই বিষয়ে সমাধান করার জন্য তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু তারা আজ আমাদের কয়েকজন ছোট ভাইকে অতর্কিত হামলা করেছে। এর পর সংঘর্ষ বেধেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘পূর্বের ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘এখানে ১৫ জন চিকিৎসা নিতে এসেছে। এর মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর ছিল তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’