ঢাবির আসনসংখ্যা কমানো হতে পারে: উপাচার্য

ইতোমধ্যেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসন সংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ৫০টির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন, যাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় বলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা, সেই সক্ষমতাকে বিবেচনায় রেখেই ভর্তি পরীক্ষায় আমরা কতজন ভর্তি করাবো, সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা এই সংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে অর্থাৎ কমানো হতে পারে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল আরো বলেন, এবার ঢাকার মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে ২৬ হাজার ১১০ জন শিক্ষার্থী এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোয় পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সার্বিক সহায়তা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

পরীক্ষার ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে, জানতে চাইলে ভিসি বলেন, যেহেতু লিখিত পরীক্ষা আছে, সুতরাং খাতা দেখতে হবে। ফলাফল প্রকাশ করতে একটু দেরি হবে। তবে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মোহাম্মাদ আব্দুল মঈনসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঢাবির আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। আসনপ্রতি প্রায় ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।