কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত যেকোনও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে কিছু শর্ত মেনে এসব অনিয়ম-সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখার ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটির সদস্যসচিব মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ আহ্বানের জন্য এরই মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য গত ২৮ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০৩তম সভায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত অনিয়মের কোনও অভিযোগ থাকলে নিম্নোক্ত শর্তানুযায়ী আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে অভিযোগপত্র নিম্ন স্বাক্ষরকারী বরাবর দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অভিযোগ দাখিলের শর্তগুলো হলো– উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগপত্র জমা দিতে হবে, অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর নাম, পূর্ণ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল উল্লেখ করতে হবে, উড়োচিঠি বা অপ্রমাণিত অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না, ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম সিন্ডিকেট সভায় গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, সদস্যসচিব হিসেবে আছেন সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মতিন সাদ আবদুল্লাহ।
এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটি নোটিশ করেছি, নোটিশের আলোকে একটি ডেডলাইন দিয়েছি। এর মধ্যে যারা যারা আবেদন করবে, আবেদনের পরে পরের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।