যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আহসানউল্লাহ’র সেই শিক্ষক গ্রেফতার

মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস

যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলাবাগান থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে কলাবাগান থানায় আছেন। কলাবাগান থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসলাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একজন তরুণ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন ২০০৩) এর ১০ ধারায় শ্লীলতাহানির মামলাটি করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই শামীম আহমেদ বলেন, আসামিকে আজ আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবো।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌসকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানালে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হন। তবে তারা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছিলেন।

আরও পড়ুন: টুইটারে নিজামীর পক্ষে হ্যাশট্যাগ

ঘটনার পর এ বিষয়ে উপাচার্য (ভিসি) এএমএম সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রক্টোরিয়ালসহ কোনও বিষয়ে আর থাকতে পারবেন না। এমনকি ক্লাশ নিতেও পারবেন না।’

তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও একজন মেম্বার অব ট্রাস্টিসহ ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মন্ত্রী-এমপি ও সাংবাদিকদের হত্যার পরিকল্পনা ছিল

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তড়িৎ কৌশল বিভাগের ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি প্রক্টোরিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করতেন। বিভাগে তার নিজের কক্ষে ছাত্রীদের ডাকতেন এবং না আসলে নম্বর কম দেয়ার হুমকিও দিতেন।

/এআরআর/এসটি/