আহসানুল্লাহ’র শিক্ষক ফেরদৌস ২ দিনের রিমান্ডে





অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম দোলোয়ার হোসাইন বুধবার এই আদেশ দেন।
কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি মামলায় তাকে এই রিমান্ডে পাঠানো হয়। কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম কোর্ট) ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আর আসামির আইনজীবী কাজী মো. নজিবউল্লাহ হিরু রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এর আগে শুনানিতে নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আসামি কোনওভাবেই জড়িত নয়। তাকে মিথ্যাভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। ফেরদৌস ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তিনি শিক্ষক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল না। যে চার ভিকটিমের কথা বলা হয়েছে তারা বা তাদের পরিবারের কেউই পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেনি। ফেরদৌসের সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের আবেদন করেন আইনজীবী।
উল্লেখ্য , বুধবার (৪ মে) ভোরে রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (৩ মে) রাত ২টার দিকে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন আহসানুল্লাহ’র ছাত্র আসাদুল্লাহ আল সায়েম। ওই মামলায় ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শনিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে আন্দোলন শুরু করেন আহসানুল্লাহ’র শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিক বৈঠকে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন- 

আহসানউল্লাহ’র শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইলেন বাংলাদেশি ব্লগার রবি


/এসআইটি/এফএস/