তুলসী গাছে আপত্তি, পরে থানায়

তুলসী গাছেও আপত্তি!

রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি পরিবার তুলসী গাছ নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তাদের দাবি, অ্যাপার্টমেন্টের এক প্রতিবেশীর নিষেধাজ্ঞা তুলসী গাছ ছাদে রাখা যাবে না, রাখতে হলে বারান্দায় রাখা যেতে পারে। এ থেকে প্রথমে দুই পরিবার প্রধানের কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে তুলসী গাছের মালিক তার প্রতিবেশীকে মারতে উদ্যত হয়েছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।

এদিকে, গাছ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারিকারী  উল্টো থানায় জিডি করেছেন নিরাপত্তা চেয়ে। ফলাফল, কয়েকদিন ধরে থানা পুলিশের মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছেন তুলসী গাছের মালিক। পুলিশ বলছে, নিজেরা সমাধান করে নিতে পারলেই ঘটনা সহজ হতো। এটা এমন কোনও বড় বিষয় না।

আরও পড়ুন: Untitled-1সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি

তুলসী গাছের মালিক দক্ষিণখানের রাজন সাহা বলেন,  উনি আমাদের ফ্ল্যাট মালিক নন, কিন্তু এ ধরনের কথা শুনে মনেই হতো তিনি কোনও কারণে চান না আমরা এখানে থাকি। ঘটনা ২৯ এপ্রিলের। তুলসী পাতা আনতে ছাদে গেলে সেই প্রতিবেশী গাছটি বারান্দায় না নিয়ে গেলে ছাদ থেকে ফেলে দেবেন বলে আমার বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তুলসী গাছের মালিক  বলেন, আমার বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় আমিও বেশ মেজাজ  খারাপ করেছি। তবে তিনি যেভাবে জিডিতে দাবি করেছেন, আমি তাকে আঘাত করেছি তেমন কিছু ঘটেনি।

ভবনের অন্য বাসিন্দারা বিষয়টির মধ্যে ঢুকতে চান না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের কেউ কেউ বলেন, রাজনের বড় দোষ তিনি মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। রাগ সামলাতে পারেননি। কিন্তু তার মার সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে সেটাতো আর সিসিটিভিতে নেই। ফলে সিসিটিভিতে একপাক্ষিক প্রমাণ মিলেছে।

আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীসরকার ও আদালতের দিকেই তাকিয়ে জামায়াত

এদিকে থানায় জিডি করার কথা স্বীকার করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, এখনও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। 

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার উপ পরিদর্শক জহির রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এটা তারা কথা বলেই সমাধান করে নিতে পারেন।  অভিযোগকারী রাজনের চেয়ে বয়সে বড়। রাজন যদি অভিযোগকারীর কাছে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতেন তাহলেই এটা এতো বড় হতো না। 

এপিএইচ/