নয়াপল্টনে সংঘর্ষে আহত শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল সর্দার মারা গেছেন।

-
রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে এবিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা কিছু জানে না বলে জানিয়েছে।
ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিটি হসপিটালটি আমাদের থানা এলাকায় হলেও এখনও কেউ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। তাই এবিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’
তবে পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সিটি হসপিটাল ও ঢামেক হাসপাতালে আমাদের পুলিশ গেছে। এই ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
এর আগে রবিবার সন্ধ্যার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহানগর শ্রমিক দলের দুই নেতাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন মহানগর শ্রমিক দলের দফতর সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া (৪৬) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল সর্দার। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর বাবুলকে সিটি হসপিটাল নিয়ে আসে তার স্বজনরা।

আহত আবু কাউসার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা অসুস্থ থাকায় মহানগর শ্রমিক দলের সদস্যরা মিলাদে যাচ্ছিলেন। এসময় ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন ওয়াসিমের সমর্থক, ছাত্রদলের (পূর্ব) যুগ্ম সম্পাদক সোহেল খান ও নিউমার্কেট থানার ছাত্রনেতা রাশেদ খানসহ ৮ থেকে ১০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে।

আরও পড়ুন: ঢাকা কমার্স কলেজ‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় শূলে চড়ানোর মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি’

/এআরআর/এইচকে/