সেলিম ওসমান বলেন, ওই শিক্ষককে (শ্যামল কান্তি ভক্ত) কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। আমি কার কাছে ক্ষমা চাইব, যিনি আল্লাহকে কটূক্তি করেছেন? তবে আমি লজ্জিত এবং সমাজের কাছে দুঃখিত যে তারা এমন একটি ভিডিও দেখেছেন যাতে তারা আমাকে ভুল বুঝেছেন।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষককে পদে বহাল এবং কটূক্তির প্রমাণ না পাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি রিপোর্ট পাইনি। আমিও তো আসামি, আমাকেও তো প্রশ্ন করতে হবে। আমি উন্মাদ না, আমার কাছে ওই শিক্ষকের কটূক্তির বিষয়ে প্রমাণ আছে। সেগুলো আমি প্রকাশ করবো। ওই সময় আমি কোনও শিক্ষককে অপমান করিনি এবং তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তও আমি দেইনি।
আরও পড়ুন: স্কুল কমিটি বাতিল, শ্যামল কান্তি পদে বহাল
এ ঘটনায় আদালতের রুলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন, এখন আদালত যদি আমার ফাঁসিও দেন, তাহলেও আমি আপত্তি করব না। তবে আমি এটা মনে করব যে, জাহান্নামের আগুন থেকে আমি বেঁচে গেছি। ওই শিক্ষকের সঙ্গে এখনও আমার সুসম্পর্ক আছে।
চলমান তদন্তের বিষয়ে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটি আমার কাছে এখনও আসেনি। এই তদন্ত যতক্ষণ শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি চেম্বার অব কমার্স, বিকেএমই ও ফেডারেশনের চেয়ারে বসব না। এ সময় তিনি তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও অংশ নেবেন না বলে জানান।
আদালতে সাজা হলে সব আমি সব ধরনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতের রুলে বলা হয়েছে, ওই সময় ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তারা আমার সহকর্মী। তারা আমার সহকর্মী না, তারা ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ছিলেন। ফলে যা সাজা হয়, তা যেন সব আমারই হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে শ্যামল কান্তির কটূক্তির সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি
/এসটিএস/এমও/এজে