এই ছাত্র সংগঠনটিতে রয়েছে ইসলামী ছাত্রঐক্য, শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়া, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া এবং বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পাঁচটি দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করে। এগুলো হচ্ছে- ২৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, ২৬ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ৩০ মে জাতীয় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময়, ২ জুন সিলেট বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ ও বিভাগগুলোতে বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ, ৩ জুন বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ মিছিল রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য’র মুখপাত্র মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা ও ভাবধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সরকার প্রণীত শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচিতে তার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরং ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধ ও দেশাত্ববোধক মুসলিম লেখকদের লিখনীগুলো বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদীদের ধর্মবিদ্বেষী এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী লেখাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল ও বিতর্কিত সেক্যুলার পাঠ্যসূচি সংশোধন করে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য’র মুখপাত্র মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদীর ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আল-আমীন।
/সিএ/এএইচ/
আরও খবর পড়ুন-