প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন কওমি মাদ্রাসা বন্ধের হাতিয়ার: নূর হোসাইন কাসেমী

খেলাফত মজলিসের সেমিনারপ্রস্তাবিত শিক্ষা আইন কওমি মাদ্রাসা বন্ধের হাতিয়ার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক নূর হোসাইন কাসেমী।
তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে এ দেশের মানুষের মুসলমানিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তাই এ শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ‘বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন বনাম গণমানুষের চেতনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বেফাক সহ-সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, এই শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও সিলেবাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তবে আমাদের আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সেমিনারের প্রধান আলোচক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। আওয়ামী লীগ যেন ভারতের বিজিপির বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে। তাই তারা শিক্ষায় হিন্দুত্ববাদের প্রসারের জন্যে শিক্ষায় হিন্দুত্ববাদ সন্নিবেশিত করেছে। ভারতে বিজিপির লোকেরা মুসলমানদের গরু কোরবানিতে বাধা দিচ্ছে, গরু জবাই করার অপরাধে মুসলমানদের হত্যা করছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার পাঠ্যপুস্তকে গোমাতার প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধায় উৎসাহিত করে মুসলমানদের সন্তানদের ঈমান ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। শুধু শিক্ষায় নয়, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে সরকার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

দলটির ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল। মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. ঈশা শাহেদী, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিস ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস

/সিএ/এজে