এসময় মঞ্চে নিহত তিন বাংলাদেশির কফিন রাখা ছিলো। এর মধ্যে দুটি কফিনে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো ও দ্বৈত নাগরিক অবিন্তা কবীরের কফিনটি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় মোড়ানো ছিলো।
শ্রদ্ধা জানানোর সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিক্যাট, ইতালি ও জাপানের রাষ্ট্রদূত।
এছাড়াও নিহতদের স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদেরকে সমবেদনা জানান। এ সময় স্বজনদের অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই ভারতের হাইকমিশনার, ইতালি, জাপান, ও রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধা জানান। এরপরে বাংলাদেশি নিহতদের স্বজন ও নিহত পুলিশ পরিবারের স্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর অন্যান্য দূতাবাসের প্রতিনিটি, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। ঘটনার পর অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম নিহত হন। জঙ্গিরা রাতেই তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী ওই রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়,৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয়। বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তুত আর্মি স্টেডিয়াম, অপেক্ষা শ্রদ্ধা নিবেদনের
/এমও/