অনেক বিদেশি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন: রওশন

সংসদে রওশন এরশাদগুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর অনেক বিদেশি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের ওপর থেকে বিদেশিদের আস্থা চলে গেছে। অনেক বিদেশি চলে গেছেন। আমি যেখানে থাকি সেই এলাকা থেকে অন্তত: ২০টি ফ্যামিলি বাংলাদেশ থেকে চলে গেছে।
মঙ্গলবার সংসদে গুলশান, শোলাকিয়া, সৌদি আরবের মদিনা, ফ্রান্সের নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলা এবং বিশ্বব্যাপী সংঘটিত জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় রওশন বলেন, বিদেশিদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের আস্থা যাতে ফিরিয়ে আনতে পারি, সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক আস্থাবেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যার সময় সরকার সতর্ক হলে গুলশানের ঘটনা ঘটতো না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, যখন ব্লগার মারা হলো তখন তো আমরা গোড়া খুঁজতে যাইনি, গুরুত্ব দেইনি। আমরা ডেপথে চিন্তা করি না। সবকিছু ভাসাভাসা দেখি।
সংসদে প্রস্তাবটি আনেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
রওশন এরশাদ বলেন, একদিনে এ ঘটনা ঘটেনি। অনেকদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা মিলে এই ঘটনা ঘটেছে। জনগণকে কী আমরা শান্তি দিতে পেরেছি?
কর্মসংস্থান না থাকা লোকেরাই তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ছয় লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এগুলো সরকারি দলের লোকেরা পেয়েছে। জনগণতো পায়নি। ফ্লাইওভার না করে ইন্ডাস্ট্রি করলে ভালো হতো। এত লোক ঢাকায় আসতো না। মেট্রোরেল দিয়ে আমরা কী করবো, যদি পেটে ভাত না থাকে। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী পড়াশোনা হচ্ছে সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। কেউতো যায় না সেখানে খোঁজ নিতে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন করতে হবে। একটা শিক্ষিত ছেলে জাস্ট একটা টাইম বোমা।

পুলিশের আধুনিকায়নের সুপারিশ করে তিনি বলেন, পুলিশকে বদলাতে হবে। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিতে হবে। সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। 

নিজের নিরাপত্তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মন্ত্রীদের প্রোটেকশনের জন্য পুলিশ দেওয়া হয়। এমপিদের জন্য কী দেওয়া হয়? আমার বাড়িতে ৬ জন পুলিশ। দুইজন করে আসে। প্রটেকশন আল্লাহ ভরসা।

 আরও েপড়তে পারেন: গোয়েন্দা তথ্যের পরও যে হামলা ঠেকানো যায়নি

ইএইচএস/এমএসএম/