বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নাটকটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। আয়োজক ও আলোচকরা সাড়ে ৫টার মধ্যে শিল্পকলায় গিয়ে প্রবেশ পথেই বাধা প্রাপ্ত হন।
বিষয়টি নিয়ে নির্ধারিত আলোচক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওই সময় শিল্পকলায় আরও দুটি নাটকের শো চলছিল। কেবল এই নাটকটি বন্ধ করা হয়েছে। কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই। নাট্যকর্মীরা সেখানেই বিষয়টিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বটতলা নাট্য দলের কর্মী সামিনা লুৎফা লিখেছেন, ‘আমার শুধু মনে হচ্ছে এস এম সোলায়মান ভাগ্যিস বেঁচে নেই আজ। থাকলে দেখতেন তার উত্তরসূরীরা কেমন মেরুদণ্ডের বদলে সিলিকনের কশেরুকা বয়ে বেড়ায়। আমাদের শিল্পকলা কেন্দ্রিক বিনোদন শিল্পীদের পতিত হবারও আর কোন উচ্চতা নেই। অভিনয় নিয়ন্ত্রণের দাদাগিরি দেখিয়ে সরকারি একাডেমি আজ একটি দলের নাটক বন্ধ করে দিয়েছে। আসল কারণ তারা সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বাহাসের আয়োজন করতে চেয়েছে। কাগজে লেখা অন্য কথা।’
তিনি আরও লিখেছেন, সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তিগুলো পরিষ্কার করে শোনা ও বোঝার জন্য সেখানে গিয়ে আমি এক ভয়ঙ্কর সত্যের মুখোমুখি হয়েছিলাম। নাটক মঞ্চায়নের বাধা প্রসঙ্গে কথা বলে জেনেছি, একটি নাটকের দল সুন্দরবন বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি কর্তৃপক্ষ নাকি আগে থেকে জানতো না!
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে বেশকিছু দিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
/ইউআই/এনএস/
আরও পড়ুন: