জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ৩ প্রস্তাব ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের





সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদজঙ্গিবাদ ঠেকাতে তিনটি দাবি উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়ার ঈদগাহের ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তার প্রস্তাবগুলো হলো- এক. যারা জঙ্গিবাদের অর্থ সুরক্ষা দিচ্ছে, সে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দুই. কার্যকর জঙ্গিবাদবিরোধী সেল গঠন করতে হবে। তিন. শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতিটি স্তরে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা তুলে ধরতে হবে। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঘোষিত জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই তিন প্রস্তাব পেশ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের একটু মাটিতে পা রেখে আলিয়া মাদরাসার সিলেবাস নিয়ে ভাবার অনুরোধ জানিয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেই খোশ মেজাজে থাকলে চলবে না। শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধমূলক বিষয় সিলেবাসভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, নিজামীদের (জামায়াত নেতা) করা সিলেবাস নিয়ে এখনও চলছে আলিয়া মাদ্রাসাগুলো। সরকারের টাকায় এখনও মওদুদীবাদ ছাপা হচ্ছে। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কিছু কিছু সাফল্যে আত্মপ্রবঞ্চনায় না পড়ার আহ্বানও জানিয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, অতীতেও বাংলা ভাই ও শায়খ আবদুর রহমানসহ জেএমবি সদস্যদের দমনের ক্ষেত্রে আত্মতৃপ্তি দেখানোটা ভুল ছিল। বাংলা ভাই ও তার দোসরদের ফাঁসি দিয়েই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্ভব হয়নি।
শোলাকিয়ার খতিব আরও বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী বর্তমান আন্দোলন, বিশ্লেষণ একমাত্রিক অতি সরলীকরণ ও হস্তিদর্শনের মতো হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ কেবল ইসলাম ধর্মসংশ্লিষ্ট সমস্যা নয়, সব ধর্মের নামেই সন্ত্রাস হয়। তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূল সূত্রটা বের করতে হবে।
জামায়াতের সমালোচনা করে মাসঊদ বলেন, পাকিস্তান ও ইসলাম রক্ষার নামে মওদুদীর চিন্তায় গড়া নিজামী, মুজাহিদদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে নিষ্ঠুরতা আমরা দেখেছি, তা আজকের আইএসের হত্যাকেও হার মানায়। মূলত জামায়াত-শিবির এদেশে আইএসেরই প্রক্সি দিচ্ছে। জামায়াত নিষিদ্ধ না করে হাজার চেষ্টা করেও জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়া অসম্ভব।
জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সার্কিট হাউস মসজিদের খতীব আরীফ উদ্দীন মারুফ, বাইতুল মারুফ রামপুরার খতীব ইয়াহইয়া মাহমূদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, ঢাবি শিক্ষক মাওলানা হোসাইনুল বান্না, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন প্রমুখ।

আরও পড়তে পারেন: বন্দিরা বলেন আমরা কি ভিআইপি!

/সিএ/এমএনএইচ/