'মূল হোতাদের ধরতে না পারলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই'

জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ডদের ধরতে না পারলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু। বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত 'জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি' শীর্ষক বৈঠকিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু।

জঙ্গিদের জামিন হয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'এক সেলের সঙ্গে আরেক সেলের যোগাযোগ আছে। সেই ২০০৬ সালে বাংলা ভাইদের ফাঁসির হলো। তখন তো আসামি ছিল ৪৫ জন। তাদের মধ্যে ফাঁসি হয়েছে ছয়জনের। বাকি ৩৯ জনের কী হলো? আমাদের গণতন্ত্রে মৌলবাদের যে ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তা দূর করা এক দুইদিনের ব্যাপার না।'

মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু আরও বলেন, 'জঙ্গিবাদের উত্থান কিন্তু সেই ৯০ দশকে। বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জঙ্গিবাদের যে উত্থান দেখেছি, তা ঠেকানোর কোনও পরিকল্পনা ছিলনা সরকারের। ' তিনি সন্ত্রাসবিরোধী আইন বা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ ক‌‌‌রেন।জুলফিকার রাসেল

অনুষ্ঠানে বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বলে কারা জড়িত তা তাদের জানা, কিন্তু সেটা প্রকাশ করা হয় না কেন। এ প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, 'আগামীতে প্রকাশ করা হবে। আমরা আগে একবার চেষ্টা করেছিলাম পেট্রোল সন্ত্রাস ঠেকাতে। কিন্তু তখন সেটা কার্যকর হয়নি।'

বৈঠকে আরও অংশ নেন সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রি. জে. (অব.) হাবিবুর রহমান, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেখলা সরকার, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা, ব্লগার ও লেখক আরিফ জেবতিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান এবং বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।IMG_1863

/ইউআই/এমআর/ এপিএইচ/

আরও পড়ুন:

'জঙ্গিরা সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেলেছে'

'জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ধারাবাহিক মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই'

'জঙ্গিদের মনিটরিং টিম অনেক শক্তিশালী'

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তরুণদের বিপথে যাওয়ার অন্যতম কারণ