সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তরুণদের বিপথে যাওয়ার অন্যতম কারণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান বলেন, "তারুণ্যের দীপ্ততা ও স্বপ্ন মূলত ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ইতিবাচক দিকে ব্যবহার হয়। ভিন্নদিকে যারা যাচ্ছে তারা ‘বিপ্লব’ করতে চায়। তাদের স্পেস নাই। তারা নিজেদের অনুভূতি, কথাবার্তা, স্বপ্ন শেয়ার করার লোক পায় না।" বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত 'জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি' শীর্ষক বৈঠকিতে তরুণদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।রাশেদা রওনক খান

রাশেদা রওনক খান বলেন, ‘বর্তমানে সমাজে তরুণরা নিজেদের কথা শেয়ার করার মতো সঙ্গীও পায় না। সবাই যার যার মোবাইল নিয়ে আছে। প্রত্যেকটা বাচ্চা নিজের মতো করে জগত তৈরি করছে। এটা বড় সমস্যা। জঙ্গির মতো এতো বড় ঘটনা নিয়েও আমরা বিভাজন, সন্দেহের রাজনীতি করছি। রাষ্ট্রের কাঠামো, সমাজ, পরিবারে যখন তার জন্য জায়গা নেই, তখন সে কোথায় যাবে। সমাজকে বিনষ্ট করতে ওই কয়েক শতাংশই তরুণই যথেষ্ট।'

মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রি. জে. (অব.) হাবিবুর রহমান, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেখলা সরকার, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা, ব্লগার ও লেখক আরিফ জেবতিক, এবং বাংলা ট্রিবিউনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

/ইউআই/এমআর/এপিএইচ/

আরও পড়ুন:

'মূল হোতাদের ধরতে না পারলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই'

'জঙ্গিরা সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেলেছে'