শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই ঢাকা শহরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে আমাকেও অনেক হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে। বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশে অনুরোধ, ঢালাওভাবে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ করবেন না। জঙ্গি সন্দেহে যদি এটা করেন, তাহলে মনে রাখবেন বিবাহিত মানুষও জঙ্গির খাতায় নাম লিখিয়েছে, সম্ভবত শিশুসহ! কেউ আপনাদের হয়রানি করবে না, যদি আপনারা সব তথ্য সংগ্রহ করে নিকটস্থ থানায় দিয়ে থাকেন। এই তথ্য সংগ্রহ সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’
দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাচেলরদের বাসায় পুলিশের তল্লাশি বেড়েছে। এ অবস্থায় ‘হয়রানি’ এড়াতে অনেক বাড়িওয়ালাই ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেক ব্যাচেলর। এ অবস্থায় ব্যাচেলরদের পক্ষে দাঁড়ালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ফেসবুকে তার এই পোস্টের জন্য অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পোস্টে টিআই হিমেল নামের একজন লিখেছেন, ‘পুলিশি ঝামেলা এড়াতেই বাড়ির মালিকরা এটা করছেন প্রতিমন্ত্রী। তাই সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে ভালো হয়।’
এদিকে ব্যাচেলরদের আবাসন-ভোগান্তির প্রতিবাদে একটি বালিশসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আগামী ১১ আগস্ট ‘প্রতীকী প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করবে ভাড়াটিয়া পরিষদ।
আরও পড়তে পারেন: গুলশান হামলার পর নেপালিদের বাসা ছাড়তে বলা হয়েছিল
/সিএ/এআরএল/-আপ এমএসএম/