মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনককে নিয়ে কটূক্তি করলে যাবজ্জীবন

মন্ত্রিসভাআইসিটি অ্যাক্টের চারটি ধারাকে (৫৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ ধারা) স্থানান্তর করে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬ খসড়ায় নীতিগত প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদালত থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়সমূহ এবং জাতির জনককে নিয়ে কটূক্তি করলে বা মদদ দিলে তা সাইবার অবরাধ বলে গণ্য হবে। এর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনসহ এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।
তিনি বলেন, আইসিটি আইনে শাস্তির বিষয়ে অপর্যাপ্ততা থাকায় এই নতুন আইন করতে হয়েছে। এ আইনের আলোকে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি নামে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান হবে। একজন মহাপরিচালক হবে এর প্রধান। এ আইনে ডিজিটাল, সাইবার সন্ত্রাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ এক কোটি অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইসিটি অ্যাক্টের যেসব ধারায় অসামঞ্জস্য রয়েছে সেগুলো সমন্বয় করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, নতুন এ আইনে বিমান পরিচালনা নেটওয়ার্কে সাইবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ এক কোটি অথবা উভয় দণ্ডের বিধান এবং কম্পিউটার ও মোবাইল সাইবার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর এবং উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে আবহাওয়া বিষয়ক আইন-২০১৬, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬,  বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬ এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগে এগুলো অধ্যাদেশ আকারে পরিচালিত হতো। 

/এসআই/এসএনএইচ/টিএন/