পানি চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই গঙ্গা ব্যারেজ বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ

প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজপানিচুক্তি শেষ হওয়ার আগেই গঙ্গা ব্যারেজের বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সালে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি চুক্তি সই করেছিল বাংলাদেশ ও ভারত। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের কাছে পানি ছাড়ছে বটে ভারত, তবে ‍শুষ্ক মওসুমে পানির নায্য হিস্যা না পাওয়ার অভিযোগ বরাবরই করছে বাংলাদেশ।

এদিকে গঙ্গা চুক্তির পানিসহ সারাবছর নদীগুলোতে যে পানি পাওয়া যায় তা শেষ পর্যন্ত নেমে যাচ্ছে সাগরে। ফলে শুষ্ক মওসুমে পানির সংকট থেকেই যাচ্ছে। এ কারণে, এই পানি সাগরে যেতে না দিয়ে যদি বিশাল জলাধার বা ব্যারাজ তৈরি করা যায়, তাহলে শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানি সংকট কাটিয়ে তা আবারও ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এতে অন্যান্য নদীর পানিও যথাযথভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৬ সালে গঙ্গা চুক্তির সময় ভারতকে আমরা গঙ্গা ব্যারেজ করার বিষয়টি জানিয়েছিলাম এবং ২০১৪ সালে দিল্লিকে এ প্রকল্পের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে বাংলাদেশকে জানান।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হতে হবে, অন্যথায় নতুন চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পর্যালোচনা অনুযায়ী এ প্রকল্পে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই উপকৃত হবে। ভারত এ প্রকল্পে দুটি বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে এবং আমরা তাদের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছি, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।

এ ব্যারেজে ধরে রাখা ভাটির পানি আবার উজানে ফেরত চলে যাবে কিনা সেটি নিয়ে ভারত জানতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে জানানো হয়, এটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ প্রসঙ্গে আরেক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ভারতীয় দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে এবং তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হবে। এটি প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। কিন্তু ভারত রাজি হলে এ পরিমাণ টাকা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময়ে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা হয় এবং চীন এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে রাজিও হয়েছে।
/এবি/টিএন/

আরও পড়ুন

খুবি ভর্তি পরীক্ষা ৩, ৪ ও ৫ নভেম্বর, বাড়ছে আসন সংখ্যা