সারাদেশে ভূমিকম্প





ভুমিকম্প
সারাদেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বুধবার ৪টা ৩৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের পশ্চিম চক এলাকায়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। বাংলাদেশ থেকে এর দূরত্ব ২১১ কিলোমিটার (১৩১ মাইল)। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভারতের ‘ইন্ডিয়া টিভি’র তথ্যমতে পাটনা, গৌহাটি, কলকাতা এবং লক্ষনৌতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পরাজধানীতে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা মোবাইল ফোনে পরিবার সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের খোঁজখবর নেন। 
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে

বাংলা ট্রিবিউনের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, ভূমিকম্পের সময় কলকাতাতেও মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক সেকেন্ড ধরে দালান-কোঠা কাঁপতে থাকে। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন অফিস, শপিংমল ও ঘরবাড়ি থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর পরই কলকাতার মেট্রোরেল ২০ মিনিটের মতো বন্ধ রাখা হয়। লাইন কোনোরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেট্রোরেল চলাচল ফের শুরু হয়।
কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমার হলেও উত্তরবঙ্গ, আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, মঙ্গলবারও সকাল ৮টা ১১ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫। ওইদিনও ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারে।

/এসএনএইচ/এবি/