সবচেয়ে বেশি সময় লাগলো মীর কাসেমের রিভিউতে

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলীর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানিতে সর্বোচ্চ সময় লাগলো।

একাধিকবার সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিছিয়েছে শুনানি। এর আগে আর কারোর ক্ষেত্রেই এত সময় লাগেনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন যেদিন দায়ের করা হয়েছে, তার পরদিনই শুনানি হয়েছে। কামারুজ্জামানের মামলায় রিভিউ আবেদনের ৩১ দিনের মাথায় শুনানি হয়েছিল। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলায় সবকিছু একইসঙ্গে চলতে দেখা গেছে। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশও একইদিনে কার্যকর হয়েছে।এ মামলার রিভিউতে সময় লেগেছে সবমিলিয়ে ৩৪ দিন, নিজামীর মামলায় ৩৭ দিনের মাথায় রিভিউ শুনানি হয়েছে। যদিও মীর কাসেম আলীর মামলায় রিভিউ দায়ের হয়েছে গত ১৯ জুন, ৭০ দিন পেরিয়েছে।

গত ২৪ আগস্ট শুনানি শুরুর পর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে ২৫ জুলাই শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ থাকলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন করায় তা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘তারা নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। এমনকি শেষে এসে আদালতকে জানিয়েছেন তার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। আপিল বিভাগ তাদের এ বক্তব্য গ্রহণ করেননি।

প্রসঙ্গত, মীর কাশেম এর মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১০ সালের ২৬ জুলাই। তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১২ সালের ১৭ জুন। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ ১৪টি অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু করে। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আপিল দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৮ মার্চ আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করার পর ট্রাইব্যুনালে থেকে মৃত্যু পরোয়ারা জারি করা হয় এবং তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়।পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ৬ জুন প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন এই আসামির আইনজীবীরা।

/ইউআই/এসটি/