বয়স নয়, পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বিবেচনার দাবি আলেমদের

কোরবানির পশু জবাইয়ে ১৮ বছরের কম বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ১১ আগস্ট দেওয়া সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আলেমরা বলছেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে কোরবানির পশু জবাইয়ের কার্যক্রম ব্যাহত হবে। বয়স নয়, পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সক্ষমতা এবং পশু জবাইয়ের কৌশল জানা জরুরি।Qomi-pic-(2)

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ নিয়ে গত ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক সভায় স্থানীয় সরকার সচিব আব্দুল মালেক বলেন, ‘১৮ বছরের কম বয়সী মাদ্রাসার ছাত্রদের কোরবানির পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।  এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সিটি করপোরেশনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলো মাঠ পর্যায় বিষয়টি নজরদারি করবে।’

এই বিষয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে শরিয়াহ আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পশু জবাই করার নিয়ম ও পদ্ধতি আছে, সেটা জেনে যে কেউ জবাই করতে পারবে। ফলে জবাইয়ের নিয়ম জানা জরুরি। নিয়ম না জানলে বয়স যতই হোক পশু জবাই করতে পারবে না। মাদ্রাসার সব ছাত্র পশু জবাই করতে যায়ও না। যারা জবাই করতে সক্ষম তারাই পশু জবাই করে থাকে।’

এ প্রসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ধর্মীয় নিয়ম আছে। কিভাবে কোন পদ্ধতি জবাই করা হবে সেটা মানা জরুরি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কী কারণে কেনও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলো তা পরিষ্কার করা উচিত ছিল।’Qomi-pic-(8)

কওমি মাদ্রাসা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে মক্তব, ফোরকানিয়া এবং কোরানিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩১টি। এই মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ। জাকাত, কোরবানির পশুর চামড়া ও চামড়া বিক্রিত অর্থ কওমি মাদ্রাসার আয়ের অন্যতম উৎস। শুধুমাত্র এই ঈদুল আজহার সময়ে কোরবানির পশুর চামড়া থেকে কমপক্ষে চার মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা।

মাদ্রাসার জন্য চামড়া সংগ্রহ করতে শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছাত্ররা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে থাকেন।  মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন, যাদের মধ্য ১৮ বছরের কম বয়সী ছাত্ররাও থাকে।

/সিএ/এনএস/টিএন/