বিআরটি বিল সংসদে





সংসদ অধিবেশনঢাকা ও আশপাশের ৫ জেলার মধ্যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) তৈরিতে জাতীয় সংসদে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) বিল-২০১৬ উত্থাপন করা হয়েছে। রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে বিলটি উত্থাপন করলে পরে তা চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এই আইন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় কার্যকর হবে।
বিলে বলা হয়েছে, বিআরটি আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। লাইসেন্স ছাড়া বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনায় ১০ বছর কারাদণ্ড, ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
এছাড়া অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর এবং অনুমোদন ছাড়া বিআরটি পাস ও টিকেট বিক্রি বা টিকেট জাল করলেও ১০ বছর কারাদণ্ড, ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
বিআরটির কোনও কর্মচারী এসব অপরাধ করলে তাকে দুই বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বিআরটি বাস ও যাত্রীর বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটি বাস দুর্ঘটনায় পড়লে বাস ও যাত্রী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা সম্পদের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণের আগে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন বা রাতারাতি সেখানে স্থাপনা তুললে ক্ষতিপূরণ পাবে না।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ভাড়া নির্ধারণে সরকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেবে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এখানে কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া সাত সদস্যের কমিটি ভাড়া যাচাই করবে।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল আইন ও পায়রা বন্দর আইন বিশেষ বিধানের আদলে বিআরটির জন্য ভূমি অধিগ্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। বিআরটি পরিচালনার জন্য লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে শতভাগ সরকারি কোম্পানিকে লাইসেন্স ফি দিতে হবে না।
/ইএইচএস/ এমএনএইচ/