বুধবার ঢাকায় ৩টি জানাজা, শহীদ মিনারে কবিকে নেওয়া হবে সকাল ১১টায়

রাজধানী ঢাকায় জানাজার পর সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ কুড়িগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। বুধবার সেখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সব্যসাচী এ লেখক।

সৈয়দ শামসুল হকতার পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই চত্বরে সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা, পৌনে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ নেওয়া হবে। পরে বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কুড়িগ্রামের সরকারি কলেজ মাঠে তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পরে মৃত্যু সংবাদ পেয়ে একে একে হাসপাতালে ছুটে আসেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, নাট্যব্যক্তিত্ব শহীদুল ইসলাম সাচ্চু, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান প্রমুখ।

মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসাদের একাংশএছাড়া, রাতে সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ আত্মীয় স্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হবে। এরপর ফের ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হবে। ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এ কারণে টানা ৬ মাস লন্ডনে চিকিৎসা নেন। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জানিয়ে দেন রোগমুক্তির সম্ভাবনা নেই তার। তাকে ৬ মাসের সময়ও বেঁধে দেন তারা। এরপরে ২৫ আগস্ট দেশে ফিরে এসে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

/এমও/