‘দেশের স্বার্থেই ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি’

তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ফটো)দেশের স্বার্থে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের চেয়েও  চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি রয়েছে। আরও অনেক দেশের সাথে আমাদের এ ধরনের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু বার বার কেন ভারতকে তুলে ধরা হয় জানি না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের ধারণা বাণিজ্য ঘাটতি ক্ষতির বিষয়, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমরা সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করি। দেশের স্বার্থেই ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সাথে ভারতের বাণিজ্য কখনোই সমান হবে না।’
সরকার দলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে সাত বছরে দ্রব্যমূল্য গড়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।  তবে গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।’ মন্ত্রী এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
সরকারি দলের আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধভাবে এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) ব্যবসা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন ও বিধিমালার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কোনও এমএলএম কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। ’
এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ৭ জেলার ২৭ জন লোক নিহত হয়েছেন। রোয়ানু’র আঘাতে ১১ জেলার এক হাজার ১শ’ ২৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ মন্ত্রী জানান, ‘চলতি বছরে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন।’

আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের পক্ষে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানান, ‘সরকার এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য  প্রতি কেজি ১০ টাকা করে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণের কার্যক্রম চালু করেছে। সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এ কর্মসূচি প্রতি বছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস চলবে।’

গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিআইডিএস’র সমীক্ষা তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রতি দৈনিক চাহিদা প্রায় ৪৬২ গ্রাম চাল ও ৪৬ দশমিক ২১ গ্রাম গম। চাহিদার হিসাবে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে চালের উদ্ধৃত্ত প্রায় ২৭ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন এবং গমের ঘাটতি ১৫ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন।’

ইএইচএস/ এপিএইচ/