মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় মন্ত্রীর মর্যাদায় আমাদের সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী। তার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক নেতাকর্মী বা বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এজন্য তারা বারবার আবেদন করছেন, তাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া জন্য। আমি প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিতে আকর্ষণ করেছি, বিষয়টি বিবেচনায় না নিলে বৈষম্য হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে মনে হবে—এটা বোধহয় একটা সামরিক যুদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধ যে একটা জনযুদ্ধ বা রাজনৈতিক যুদ্ধ ছিল, তা প্রমাণ করা কঠিন হবে।’
এর আগে চট্টগ্রামের কুমিড়া যুদ্ধে প্রসঙ্গ টেনে সুবিদ আলী তার প্রশ্নে জানতে চান, ‘কুমিড়ায় যে ঐহিতাসিক যুদ্ধ হয়েছিল, সেখানে আমি দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আমি কোনও অ্যাওয়ার্ড পাইনি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, জীবিত অবস্থায় একজন অ্যাওয়ার্ড পেলে আমারই পাওয়ার কথা ছিল। আমি কেন অ্যাওয়ার্ড পাইনি, তা জানতে চাই।’
জবাবে মুক্তিযুদ্ধে সুবিদ আলীর সাহসী ভূমিকার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার পুরস্কার ১৯৭২ সালে দেওয়া হয়। সুবিদ আলীকে কেন পুরস্কার দেওয়া হয়নি, তা যারা ওই সময় পুরস্কার দিয়েছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমি সদুত্তর দিতে পারছি না। তবে বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার দাবি উপস্থাপন করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সাহসিকতার পুরস্কার পুনরায় যদি সরকারিভাবে দেওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে অবশ্যই সুবিদ আলী ভুইয়ার কুমিড়া যুদ্ধের যে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
/ইএইচএস/এমএনএইচ/