ফিফটি-ফিফটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে ধন্যবাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনানারী-পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্লানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ড এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে জাতীয় সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সরকার দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম আনীত এ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এর আগে সরকার ও বিরোধী দলসহ ২৫ জন সদস্য ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।

প্রস্তাবের ওপর আলোচনা কালে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে এবং বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়কে তুলে এনে সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তিনি হচ্ছেন একজন দুঃসাহসী অভিযানের সফল নেত্রী। শেখ হাসিনা যদি বেঁচে না থাকতেন, তবে বাংলাদেশ আবারও পাকিস্তান হয়ে যেত। নিজের যোগ্যতা, সাহসিকতা, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। সারাবিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের ড মহীউদ্দিন খান আলমগীর, ডা. দীপু মনি, সাগুফতা ইয়াসমিন, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ড. হাছান মাহমুদ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেসা ‍বাপ্পি, আবুল কালাম, সেলিম উদ্দিন, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট আবু জাহির, ‍আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, পীর ফজলুর রহমান, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী আলোচনায় অংশ নেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় এই ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। পরে অবশ্য আলোচনাকালে তিনি সংসদ কক্ষ ত্যাগ করেন।

ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘এ অর্জন শেখ হাসিনার, দেশবাসীর। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নে গোটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যথার্থ কর্মের কারণেই জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে পুরস্কার দিয়েছে। শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছেন, যে বিপুল পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে ৯টি পদ্মা সেতু করা সম্ভব হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনেও সারাবিশ্বের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন,  ‘চারিদিকে শূন্যতা নিয়ে দেশের মানুষের ডাকে দেশে ফিরে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি। জনতার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে তিনি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সর্বহারা হয়ে দেশে ফিরে এসে আজ সারাবিশ্বের নেত্রী হয়েছেন। একজন নেত্রী জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন। দেশের এই গণতন্ত্র বার বার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি থেকেছে, বার্ন ইউনিটে আবদ্ধ থেকেছে। কিন্তু সব বাধা, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করেই পথহারা বাংলাদেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসড়কে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’

চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের মানবতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন নেত্রী দেশ ধ্বংস করে ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করতে চান, আরেক নেত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘বিশ্বের নেতারাও অকপটে বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে, অদম্য স্পৃহায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশকেই পাল্টে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিরল সম্মান ও অর্জনে গোটা বাংলাদেশ গর্বিত। তার এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে।’

ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আগে দেশের মানুষ ভাবত কী খাব, কী পরব? এখন সেই অবস্থা আর নেই। দেশ থেকে তিনি দারিদ্র্য দূর করে দিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ঠিকানা, গর্ব। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।’

/ইএইচএস/ এমএনএইচ/