প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা দুর্নাম রটিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মাধ্যমেও তারা সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার কারণেই সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ৭ দশমিক ১ শতাংশ হারে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লক্ষ্য স্থির করেই আমরা কাজ করি এবং আমাদের লক্ষ্য এখন দেশে দারিদ্র্যের হারকে আরও কমিয়ে আনা।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জাতিসংঘ নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মতোই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আর যদি অতীতের মতো জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা দেশের ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করার পরিবর্তে দেশকে লুটতরাজ, অর্থ আত্মস্যাৎ, মানিলন্ডারিং, এমনকি এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার মাধ্যমে পিছিয়ে দেবে। জনগণকে আবারও হত্যা ও খুনের রাজত্ব দেখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবেই। দলের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করতে হবে, যেন আমরা এই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি।’ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অর্জনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বাসস
/এমএনএইচ/