স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এ এম রেজাউস সাত্তার বলেন, খাদিজার শারীরিক আগের চেয়ে ভালো। তবে বলার মতো উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাকে মুখ দিয়ে খেতে দেওয়া হচ্ছে। এ সপ্তাহে শারিরিক অবস্থা আরও উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া যেতে পারে।
এদিকে খাদিজা বেগম নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডান পাশের হাত পা নড়াচড়া করলেও এখনও বাম পাশে নড়াচড়া করছে না নার্গিসের। ডাকলে চোখ খুলে তাকালেও কথা বলতে পারছে না। ডাক্তাররা বলছেন, আগের চেয়ে ভালো আছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।
প্রসঙ্গত গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে বদরুল আলম নামে ছাত্রলীগের এক নেতা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এই বদরুল। হাতেনাতে আটক হামলাকারী বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা করে জনতা।
চাপাতির আঘাতে আহত খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। ওই দিনই নার্গিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। সর্বশেষ গত সোমবার তার ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া ডান হাতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
/সিএ/এইচকে/